টলিউডের প্রথম সারির নায়ক। ‘দশম অবতার’ অন্য দিকে সমালোচকদের পছন্দ হয়েছে ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ এবং ‘শেষ পাতা’ ছবি দু’টি। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত প্রসেনজিৎ এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত জুটির ৫০তম ছবি ‘অযোগ্য’। গত বছরে ‘জুবিলি’ এবং ‘স্কুপ’ ওয়েব সিরিজ়ের মাধ্যমে জাতীয় স্তরে নতুন করে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রসেনজিৎ।
প্রসেনজিতের ছবি এসেছে, একথা শুনলেই হল ভরে যেত। ৮০ ও ৯০-এর দশকে প্রসেনজিৎ ছিলেন সুপার হিট। একের পর হিট ছবি দিয়েছেন টলিপাড়ার সকলের প্রিয় ‘বুম্বাদা’। তিনি এই বছর এমন সব ছবিই করবেন যা অভিনেতা হিসেবে তাঁকে চ্যালেঞ্জ করে।
সবার আশীর্বাদে এই বছর তিনি একাধিক পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। একই সঙ্গে তাঁর কথায় উঠে এল দশম অবতার ছবিটির কথা। বয়সের তোয়াক্কা করেন না যে মানুষটা, তাঁর নাম প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
৬১ বছর বয়সে মানুষের জীবনে অনেক কিছু পাল্টে যায় ঠিকই। আগের মতো আর তেমন তরতাজা লাগে না। শরীরটা চলতে চায় না। অনেক বেশি বিশ্রাম চায় কাহিল দেহ। কিন্তু কলকাতায় এমন এক ব্যক্তি আছেন, যিনি বয়সের তোয়াক্কা না করেই পুরনো ওয়াইনের মতো হয়ে গিয়েছেন। নবীনদের কাছে তিনি তরুণ ও সতেজ। যতদিন যাচ্ছে, তাঁর ততই চমক। তারুণ্য যেন তাঁর কাছে বন্দি। সেই ব্যক্তির নাম প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
একটি চরিত্রের জন্য এই ৬১ বছর বয়সেও নিজেকে পাল্টে ফেলেছেন বুম্বাদা ইন্ডাস্ট্রি এই নামেই চেনে। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্রর পরিচালনায় তৈরি ‘দেবী চৌধুরানী’ ছবিতে ভবানী পাঠকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ, সেই ভবানী পাঠক, যাঁর প্রশিক্ষণে তৈরি হয়েছিল দেবী চৌধুরানী। ছবিতে দেবী চৌধুরানীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।
প্রসেনজিৎ বলেছেন, “বিগত এক বছর ধরে আমার অনুশীলন চলেছে জোরকদমে। তলোয়ার চালানো শিখেছি। লাঠি দিয়ে কীভাবে মারামারি করা হত, সেটাও শিখেছি। ‘জুবিলি’ এবং ‘স্কুপ’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে নিজেকে নতুন স্তরে প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রসেনজিৎ।
সম্প্রতি ষাটে পৌঁছে টলি ছেড়ে বলিউডে পা রেখেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সেখানেও তিনি ‘সুপার হিট’। এদিকে যিনি কিনা নিজেই ‘ইন্ডাস্ট্রি’ তিনিই থাকবেন পরিচালনায়। প্রসেনজিৎ জানান, এবার তিনি ক্যামেরার সামনে নয়, পিছনে কাজ করতে চান। আর অভিনয় নয় এবার পরিচালনার দায়িত্বে কাজ করবেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।