ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহযোগিতা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা আপনাদের পাশে আছি। বন্যায় যাদের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে তাদের প্রত্যেককে ঘর করে দেয়া হবে। যারা মৎস্য চাষে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের সহায়তা দেবে সরকার। বেড়িবাঁধ সংস্থার করা হবে। আওয়ামীলীগ সরকার আপনাদের পাশে সব সময় ছিলো, আছে এবং থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন আমরা পায়রা বন্দর, পায়রা পাওয়ার প্লান্ট সহ মেগা প্রকল্প এখানে করেছি আজ এলাকার মানুষ তার সুফল পাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি তার সুফল প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষ ও পাচ্ছে। এ সরকার আপনাদের জন্য সর্বোচ্চ দিয়ে সহযোগিতা করবে এবং পাশে থাকার অঙ্গীকার করছি।
বন্যার্তদের সাথে কুশল বিনিময় করে নিজ হাতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী চাল,ডাল আলু,তেল,চিনি, লবন সহ অন্যান্য সামগ্রী বিতরন করেন। আওয়ামী লীগ জনগণ ও দেশের উন্নয়নে সর্বদা আন্তরিকভাবে নিবেদিত। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজে বৃহস্পতিবার ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ আশ্বাস দেন।
এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান,পটুয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম,বরিশালের সিটি মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালীর মঠবাড়িয়া ও পাথরঘাটার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে যাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে, এরই মধ্যে আমরা খোঁজ নেয়া শুরু করেছি। যেখানে যেখানে যাদের ঘরবাড়ি ভেঙেছে, তাদের আবার ঘরবাড়ি বানিয়ে দেব—এটুকু ভরসা আপনারা রাখবেন।’
আওয়ামী লীগকে জনগণের সেবা করার সুযোগ দেয়ার জন্য জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি হচ্ছে। এখন ৬-৭ ঘণ্টার মধ্যেই সড়কপথে ঢাকা থেকে কলাপাড়া আসা যায়।’ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট মেরামতে এরই মধ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভেঙে যাওয়া বাঁধ নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে, যেন বর্ষার আগেই এগুলো পুনর্নির্মাণ করে মানুষকে রক্ষা করা যায়।
তিনি আরও বলেন, বেকারের সংখ্যা এখন মাত্র ৩ শতাংশ। ইনশা আল্লাহ সেটাও থাকবে না। তবে শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেদের উদ্যোগ নিতে হবে। ত্রাণ বিতরণের পর পটুয়াখালী-কুয়াকাটা সড়কের শহীদ শেখ কামাল সেতু পরিদর্শন করেন শেখ হাসিনা।