পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শ্রীগুরু সংঘ বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় আশ্রমে পাঁচ দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব শুরু হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) শ্রীগুরু সংঘের কেন্দ্রীয় সভাপতি স্বামী জগন্নাথনন্দ স্বরস্বতী শনিবার সকালে আশ্রম অঙ্গনে সংঘের পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
শ্রীগুরু সংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রীমদ দুর্গাপ্রসন্ন পরমহংসদেবের ১৩৩ তম আবির্ভাব তিথী রাস পূর্ণিমায় প্রতিবছর এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পাঁচ দিনের এ উৎসব ঘিরে দেশে ও বিদেশের ভক্ত ও পূণ্যার্থীদের আগমন ঘটে থাকে।
‘সত্য, সেবা, নীতি, ধর্ম-জীবনের চারি কর্ম’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শাখা সংঘের ভক্তবৃন্দদের নিয়ে কেন্দ্রীয় সংঘের একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়।
সাধারণ সম্পাদক রনঞ্জয় কৃষ্ণ দত্তের সঞ্চালনায় বর্ণাঢ্য র্যালীতে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলার পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের, কাউখালী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এস এম আহসান কবির।
পাঁচ দিনের এ উৎসবে প্রতিবছরের ন্যায় আশ্রম প্রাঙ্গণের বিশাল এলাকাজুড়ে বসেছে মেলা। নাগরদোলা, কাঠের তৈরী আকর্ষণীয় ফার্নিচার, চুড়ি ফিতাসহ বাহারী দোকানের সমারোহ, দূর দূরান্ত থেকে দোকানিরা এসে স্টল পেতে বসেছেন মেলায়। কেন্দ্রীয় আশ্রমের সহ-সাধারণ সম্পাদক রতন কর বলেন, দেশ ও জাতির কল্যাণার্থে ও বিশ্ব শান্তি কামনায় পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবে ২৪ প্রহরব্যাপী তারকব্রহ্ম মহানাম সংকীর্তন অনুষ্ঠিত হবে।
দীনব্যাপী অনুষ্ঠোনে মঙ্গল আরতি, শ্রীমদভাগবদ গীতা ও গুরুগীতা পাঠ, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, বস্ত্র বিতরণসহ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, হাসপাতালে দুঃস্থ রোগীদের মধ্যে খাবার বিতরণ, সান্ধ্যকালীন প্রার্থনা ও ধর্ম সভাসহ নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রী গুরু সংঘ কেন্দ্রীয় আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক রনঞ্জয় কৃষ্ণ দত্ত জানান, বিশ্ব চরাচরের দুঃখ বিমোচন, অধর্মের গ্লাংনি থেকে রক্ষা ও ধর্ম সংস্থাপণার্থে বিশ্ব শান্তি কামনায় পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবে ২৪ প্রহরব্যাপী তারকব্রহ্ম মহানাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী বুধবার (২০ নভেম্বর) সমাপনী দিনের উৎসবে কুঞ্জভঙ্গ, নগরকীর্তন ও পরিক্রমা এবং গুরুপূজা শেষে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে।
কাউখালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ সোলায়মান জানান, পুরো অনুষ্ঠানের এলাকা সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা রয়েছে এবং উৎসবকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বসানো হয়েছে অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প।