বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় নদীর চর এলাকাজুড়ে তরমুজের ব্যাপক চাষ করা হয়েছে। কৃষকরা তরমুজ বিক্রি করতে শুরু করেছেন। এমন সময় কৃষক যাতে করে ফসলে ন্যায্য মূল্য পেতে পারেন সে জন্যই জগৎ বাংলার সম্পাদক মিত্র প্রসেনজিৎ মিস্ত্রী পৌঁছে গেলেন চাষীদের দোর গোড়ায়। তিনি কথা বললেন চাষী ও পাইকারদের সাথে। এ সময় কৃষকদের ফসলের ন্যায্য মূল্য পেয়ে কৃষকদের মূখে হাঁসি ফুটে ওঠে। পাইকাদের তিনি বলেন আপনারা এই তরমুজ গুলো কেজি হিসেবে ক্রয় করেন নি তাই বিক্রেতারাও এই তরমুজ যাতে করে কেজি হিসেবে না বিক্রয় করে ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থেকে পিচ্ হিসাবে বিক্রয় করে সে দিকে খেয়াল রাখবেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা বাজার পর্বেক্ষণ করে দেখেছি কেজি প্রতি ভোক্তাদের ক্রয় সিমার বাহিরে দাম হাকানোর কারণে বর্তমানে তরমুজ বিমূখ হয়ে পড়েছেন অধিকাংশ ভোক্তারা।
আন্ধারমানিক গ্রামের তরমুজ চাষি সুমন হালদার জানান, কোন বিপদ জনক ঝরবৃষ্টি না থাকার ফলে আমরা ভালো ভাবে ফসল উৎপাদন করতে পেরেছি।আমাদের অনেক কষ্ট হলেও এবার তরমুজ চাষ করে ফসলের ন্যায্য মূল্য পেয়ে আমরা খুশি।
তরমুজ চাষি রঞ্জন হালদার জানান, রৌদ্র তাপে গায়ের ঘাম জল করে আমরা তরমুজ চাষ করে থাকি। এবারে আমরা ন্যায্য মূল্য পেয়ে আমাদের কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়েছে। তাই আমরা সবাই খুশি। তিনি বলেন, আমরা বিঘা প্রতি ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকায় তরমুজ ভিটা বিক্রয় করতে পেরেছি। যা আগের তুলানায় ভালো। এ বছর ওই এলাকায় আদৌ কোনো বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তারপরও সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ সময় তরমুজ চাষিরা দাবী করে বলেন, তরমুজ চাষের জন্য আমরা যদি স্বল্প সুদে বা অর্থনৈতিক সাপোর্ট পাই তাহলে আগামীতে আমরা আরো ব্যাপক ফলন উৎপাদন করতে পারবো।