পিরোজপুর প্রতিনিধি: কিশোর-কিশোরীদেরকে নিয়ে “কৈশোর মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান” পিরোজপুরে উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিব ম্যাজিস্টে আরিফ মুর্শিদ মিশু, জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক ইকবাল কবির ও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় হাসান মামুন রিকের বরিশাল যোন এর যোনাল ম্যানেজার এ.বি.এম জাহিদুল কবির সহ ৬ জনকে এই সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়েছে। রবিবার (৯ জুন) বিকালে সদর উপজেলার শহীদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার রিক ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের পিকেএসএফ এর সহযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে কৈশোর কর্মসূচির কিশোর-কিশোরীদেরকে নিয়ে কৈশোর মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ কর্মসূচির উদ্যোগে সদর উপজেলার পৌরসভাসহ ৭ টি ইউনিয়নের ৩০ টি কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্যদের অংশগ্রহনে এ মেলা হয়। আয়োজিত এই মেলার প্রধান অতিথি থেকে উদ্বোধন করেন পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ মুর্শিদ মিশু। অনুষ্ঠানে কৈশোর কর্মসূচি উপজেলা প্রোগ্রাম অফিসার জয় কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক ইকবাল কবির, রিকের বরিশাল যোন এর যোনাল ম্যানেজার এ.বি.এম জাহিদুল কবির, রিকের সদর উপজেলা এরিয়া ম্যানেজার মো. সাইফুল ইসলাম, আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. ফারুক রহমান, শংকর দেবনাথ ও সাংবাদিক হাসান মামুন, সাংবাদিক প্রসেনজিৎ মিস্ত্রী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় কৈশোর মেলায় কিশোর-কিশোরীদের গ্যালারী আর্ট পরিদর্শন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিব ম্যাজিস্টে আরিফ মুর্শিদ মিশু।
কৈশোর মেলায় বক্তারা বলেন, কিশোর-কিশোরীদের চিন্তার বিকাশ ও তাদের অগ্রগতীকে সফল করার জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ধরনের একটি মেলা আয়োজন করার জন্য আমরা এ কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাই। আমরা মনেকরি, কিশোর-কিশোরীদের জীবনমানের উন্নয়নে এ ধরনের মেলার আয়োজন করা প্রয়োজন। কৈশোরকাল মানবজীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এ সময় কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে। কিন্ত সঠিক জ্ঞান ও দক্ষতার জন্য জীবনদক্ষতা বৃদ্ধির ওপর প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, যৌতুক, লিঙ্গবৈষম্য, নারীর প্রতি সহিংসতা ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে ইত্যাদি সমাজের নেতিবাচক বিষয়গুলো প্রতিরোধে দক্ষতা বৃদ্ধির শিক্ষা দেওয়া হয় এ ধরনের উদ্যোগকে জীবনমান উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখে। তাই পুরো দেশকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী দেখতে হলে সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে আরও তৎপর হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এ সময় প্রতিযোগীতায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ স্থান অধিকারীদেরকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।