স্টাফ রিপোর্টার:পিরোজপুরের একটি গ্রামে ৩টি সচল খাল থাকা সত্ত্বেও অস্তিত্ত্বহীন খাল খননের পায়তারার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার সকালে (১৪ মার্চ) সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের কচুবুনিয়া বটতলা বাজার ও কাথুলিয়া সংয্গো সড়কে হালদার বাড়ী সামনে স্থানীয় সর্বস্তরের মানুষ এ মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন। বক্তারা এ সময় বলেন, আমাদের গ্রামে ৩টি সচল খাল থাকায় যা আমাদের চাহিদার অধিক পূরণ হয়ে থাকে। এর পাশেই বিলীন হওয়া খালটি খনন করলে আমাদের উপকারের থেকে বেশি ক্ষতি সাধন হবে। অস্তিত্ত্বহীন কাঁটাখালটি ৫০ থেকে ৬০ বছর আগেই বিলীন হয়ে গেছে। ভড়াটকৃত স্থানে যদি খনন কাজ করা হয় তবে অসংখ্য ফল-ফলাদির গাছ, সমাধি, কবর স্থান, ঘরবাড়ির ক্ষতি সাধিত হবে। এতে করে ১০০-১৫০টি পরিবার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়বে। এ সময় মানববন্ধনে সর্বস্তরের শত শত লোক অংশ গ্রহণ করে খাল খনন না করার জন্য প্রতিবাদ জানান।
এ সময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দুর্গাপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ মোক্তার আলী শেখ, নগরবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পলাশ হালদার খোকন, দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বৃষ্টি হালদার, সাবেক ইউপি সদস্য উত্তম কুমার ঢালী, সুজন শিকদার, শেফালী হালদার, শিল্পী হালদার প্রমূখ।
দুর্গাপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ মোক্তার আলী শেখ বলেন, দীর্ঘ দিন এখানে কোন খাল ছিলো না এখন যদি খাল কাটা হয় তবে ঘরবাড়ি, ফল ফলাদির , সমাধির ব্যপক ক্ষতির হবে তাই আমরা খাল খননের প্রতিবাদ জানাই।
দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বৃষ্টি হালদার বলেন, এখানে খাল ছিলো তা আমরা দেখি নাই এবং এখান থেকে খাল খনন করলে অনেক শ্মশান, কবরস্থান, অসংখ্য ফল-ফলাদিরসহ বসতবাড়ির ব্যপক ক্ষতি সাধন হবে। তাই আমরা খাল খননের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার জন সংযোগ সম্পাদক ও অনুভব বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ সাধারণ সম্পাদক সুনিল কৃষ্ণ হালদার বলেন, আমাদের গ্রামে যোগাযোগের খাল রয়েছে যা ব্যবহার উপযোগী পরিচালিত, বহু বছর আগে এই খালটি প্রয়োজনে কাটা হয়েছিলো যা কেবল মাত্র এখন নামে আছে এবং খালটি কোন মতেই প্রয়োজন নয় কিন্তু কিছু কুচক্রী মহল এই খালটি কাটা হলে অনেক শ্মশান, কবরস্থান, বসতবাড়ি সহ হাজার হাজার লোকের ক্ষতি হবে। অতএব এই খালটি যাতে কাটা না হয় তার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট।