অ্যাকশনের কারণে নজরে আসে ‘জুনিয়র মালিঙ্গা’ বলে ডাকা হয় মাথিশা পাথিরানাকে। ২১ পা রাখা তরুণ এবার পারফরম্যান্সেও মনে করালেন নিজ দেশের কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গাকে। মালিঙ্গা নিজেও তার প্রতি জানিয়েছেন মুগ্ধতার কথা।
ডেথ ওভারে যিনি চেন্নাই সুপার কিংসের ঝান্ডা উড়ালেন তিনি ডানহাতি তরুণ শ্রীলঙ্কান পেসার মাথিশা পাথিরানা। গতির তারতম্য, হালকা মুভমেন্ট, নিখুঁত ইয়র্করে দুর্দান্ত প্রয়োগে দেখান ঝলক। মালিঙ্গা রাজস্থান রয়্যালসের পেস বোলিং কোচ হিসেবে আইপিএলেই থাকা এই সাবেক তারকা টুইট করে বাহবা দিয়েছেন পাথিরানাকে, ‘মুগ্ধ করা পারফরম্যান্স মাথিশা।
ডেথ ওভারে আগুনে ঝরা বোলিং উপহার দেন ডানহাতি এই পেসার। যার ফলে ৪ রানের নাটকীয় জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করল শ্রীলঙ্কা। একের পর এক ক্রিকেট জগৎ চমকে দিচ্ছেন এই ক্ষুদে ক্রিকেটার মাথিশা পাথিরানা।
১৬১ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে আফগানিস্তান। ছোট ছোট জুটিতে দলের হাল ধরে রাখেন ডানহাতি এই ওপেনার। এক পর্যায়ে ২ ওভারে ১৪ রান প্রয়োজন ছিল সফরকারীদের। সেখানেই বাজিমাত করেন পাথিরানা। ১৯তম ওভারে এসে মাত্র তিন রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন তিনি। তাতে ব্যাকফুটে পড়ে যায় আফগানরা। শেষ ওভারে ১১ রান দরকার হলেও ৭ রানের বেশি নিতে পারেনি। ৯ উইকেটে ১৫৬ রানেই থামতে হয় তাদের। লঙ্কানদের হয়ে ৪ ওভারে ২৪ রান খরচে ৪ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হন পাথিরানা।
লঙ্কান এই তরুণ পেসার বলেছেন, তার অনেক খেয়াল রাখেন চেন্নাই সুপার কিংসের অভিজ্ঞ কিপার-ব্যাটসম্যান মাহেন্দ্র সিং ধোনি।তার ছোটখাটো পরামর্শ বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগায় খেলোয়াড়দের, উজ্জীবিত করে সব সময় সর্বত্র। এমন একজনের সান্নিধ্য পেয়ে আনন্দের যেন শেষ নেই মাথিশা পাথিরানার। চেন্নাই সুপার কিংসের শ্রীলঙ্কান পেসার বললেন, আইপিএলে তার সাফল্যে বড় অবদান ধোনির। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ভারতীয় এই গ্রেটকে ‘বাবার মতো’ দেখেন তিনি।
চলতি আইপিএলে সময়টা বেশ ভালো কাটছে পাথিরানার। উইকেট শিকারির তালিকায় এখন যৌথভাবে পঞ্চম স্থানে আছেন তিনি। চেন্নাইয়ের পঞ্চম শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন পাথিরানা। ধোনির নেতৃত্বে সেবার ১২ ম্যাচে উইকেট নিয়েছিলেন ১৯টি, ওভারপ্রতি রান দিয়েছিলেন ৮ করে।
পাথিরানার মতে, ধোনির নির্দেশনাই তাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। চেন্নাইয়ের প্রকাশিত একটি ভিডিও এই তরুণ বললেন, বাবার মতো তার খেয়াল রাখেন ধোনি।
“আমার ক্রিকেট জীবনে বাবার পর তিনি (ধোনি) আমার বাবার ভূমিকা পালন করছেন। তিনি আমার যত্ন নেন এবং আমাকে কী করতে হবে সে সম্পর্কে পরামর্শ দেন, ঠিক আমি যখন আমার বাড়িতে থাকি তখন আমার বাবা যেমনটা করেন। আমি মনে করি এটাই আমাদের কাছে যথেষ্ট।”
“যখন মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে থাকি তিনি খুব বেশি কিছু বলেন না, তবে ছোটছোট কিছু পরামর্শ দেন যা পার্থক্য গড়ে দেয়, আমাকে আত্মবিশ্বাস যোগায়। তিনি জানেন কীভাবে খেলোয়াড়দের পরিচালনা করতে হয়। মাঠের বাইরে, আমরা খুব বেশি কথা বলি না, তবে তাকে যদি কিছু জিজ্ঞেস করতে হয় আমি অবশ্যই তার কাছে যাব এবং জিজ্ঞেস করব।”